top of page

E ছাড়া রচনায় ঈশ্বরচন্দ্র ও মধুসূদন

Updated: Jun 4, 2023


ঈশ্বরচন্দ্র vs মাইকেল
ঈশ্বরচন্দ্র vs মাইকেল

একবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মজা করে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "যেহেতু আপনি ইংরেজিতে মাস্টার, আপনি কি ইংরেজী অক্ষর E বাদ দিয়ে একটা রচনা বানাতে পারবেন? ২১শ শতাব্দী'তে এসেও কি অসাধারন রকমের স্মার্ট ছিল মাইকেল মধূসুদন দত্তের উত্তরটিঃ

 
I doubt I can. It’s a major part of many many words. Omitting it is as hard as making muffins without flour. It’s as hard as spitting without saliva, napping without a pillow, driving a train without tracks, sailing to Russia without a boat, and washing your hands without soap. And, anyway, what would I gain? An award? A cash bonus? Bragging rights? Why should I strain my brain? It’s not worth doing.

(রচনাটির মধ্যে কোথাও E নেই)

রচনাটির অর্থ : আমার সন্দেহ আমি পারবো কিনা। এটা অনেক শব্দের প্রধান অংশ। এটা ময়দা ছাড়া পিঠা বানানোর মতোই কঠিন। লালা ছাড়া থুথু মারার মতো, বালিশ ছাড়া ঘুমানোর মতো, রেল লাইন ছাড়া রেলগাড়ি চালানোর মতো, নৌকা ছাড়া রাশিয়া যাত্রা করার মতো, সাবান ছাড়া হাত ধোয়ার মতো কঠিন। যাই হোক, এটা করতে পারলে আমি কী পাবো? কোনো পুরষ্কার? কোনো টাকা? কোনো অধিকার? তো অযথা কেন আমার মস্তিষ্ককে চাপ দেবো? এটা কোনো কাজের কাজ নয়।
 

মধূসুদন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। দুইজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের শুরুটা ছিল কিছুটা তিক্ততার মধ্য দিয়ে। যেখানে বিদ্যাসাগর ব্যঙ্গোক্তির সুরেই সমালোচনা করেছিলেন ১৮৬০ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্তের "তিলোত্তমা সম্ভব' কাব্যের।


বন্ধুদের নিয়ে ও পানশালার পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করতেন বিদ্যাসাগর। মধুসূদনকে বহুবার আর্থিক সাহায্য করেছেন তিনি। একসময় বিদ্যাসাগর নিজেই দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েন।


ধর্ম পরিবর্তন করা মাইকেল মধুসূদনের ব্যক্তিগত জীবন ছিল ট্রাজেডিতে ভরপুর। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় এই মহাকবির মৃত্যুর আগে নিজ সম্পত্তি বিক্রি করে দায়মুক্তি করে গেছেন প্রিয় বন্ধু বিদ্যাসাগরকে যেন কারো কাছে অপদস্থ হতে না হয়।


E ছাড়া রচনায় ঈশ্বরচন্দ্র ও মধুসূদনের এই রসিকতাপূর্ন চ্যল্যেঞ্জটি বাস্তবিক অর্থে সে সময়কার মেধা চর্চা এবং সত্যিকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ যা বর্তমান সমাজে অনুপস্থিত।

 

শব্দঃ ৩১৩

প্লাগারিজমঃ নীল লেখা অংশ

ইউনিকঃ ৬৭%

গল্পঃ নেট থেকে সংগৃহীত



Comments


bottom of page