top of page

ব্রাহ্ম সমাজের প্রথম বিধবা বিবাহ

Updated: Jun 4, 2023

হেমন্তশশী গুপ্ত ছিলেন সেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আগ্রনী নারী, যিনি বিধবা হয়ে এক বিপ্লবিক সিদ্ধান্তে পুনরায় বিবাহ করেন ১৮৯০ সালে, এটাই ছিলো ভারতবর্ষে ব্রাক্ষ্মসমাজে প্রথম বিধবাবিবাহ। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারছন্নতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে নারী জাগরনের অবিস্মরণীয় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।


ব্রাক্ষ্ম ধর্ম গ্রহনের কারনে বিখ্যাত কবি, সঙ্গীতজ্ঞ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার অতুল প্রসাদ সেনের মাতামহ ব্রাক্ষ্ম সমাজের নেতা , প্রখ্যাত গায়ক সংগীতজ্ঞ জমিদার কালী নারায়ন গুপ্ত হিন্দুদের দ্বারা নরসিংদীর ভাটপাটার জমিদারী থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে শ্রীপুরের কাওরাইদের জমিদারী কিনে নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৮৮৪ তে স্বামী রাম প্রাসাদ সেন মারা যাওয়ার পর হেমন্তশশী গুপ্ত বাবার বাড়ি কাওরাইদে চলে আসেন ছেলে অতুল কে নিয়ে।


এখানেই কালী নারায়ন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করেন, যখন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে বিধবা বিবাহর বিরুদ্ধে জোর ঝড় শুরু হয়।১৮৯০ সনে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জেঠা মশাই দূর্গামোহন দাসের সাথে হেমন্তশশী বিয়ে হয়। এটাই ভারতবর্ষে ব্রাক্ষ্ম সমাজে প্রথম বিধবা বিবাহ এবং তিনিই ছিলেন সেই নারী। পুনরায় বিবাহ করে ভারতবর্ষে হাজার বছরের বিধবা বিয়ে প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন এবং ধর্মীয় গোঁড়ামিও কুসংস্কারছন্নতার শৃঙ্খলভেঙ্গে সমাজে প্রথম বিধবা বিয়ে করে নারী জাগরনের অবিস্মরণীয় সাহসিকতারপরিচয় দিয়েছিলেন।


প্রথম স্বামী রাম প্রসাদ সেনও ছিলেন উদারপন্থী মানুষ । তিনি মারা যাওয়ার সময় হেমন্তশশীর বয়স হয়েছিলো সাইত্রিশ। প্রায়ি তিনি হেমন্তশশীকে অনুরোধ করে বলেছেন তাঁর অবর্তমানে তিনি যেন পুনরায় বিয়ে করেন। পুত্র অতুল মা কে খুব ভালোবাসতেন তিনি এই বিয়েতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন যা পরবর্তিতে তাঁর গানে ফুঁটে উঠেছে। হেমন্তশশীর দৃঢ় এবং বিপ্লবিক সিদ্ধান্তের জন্য ব্রাহ্ম ও হিন্দু সমাজে বিধবা বিবাহে নব জাগরন শুরু হয়েছিলো।

 

শব্দঃ ২৩৮

সুত্রঃ গাজীপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য ।

 

Comments


bottom of page