top of page

ভাওয়াল রাজার বংশ তালিকা

Updated: Jun 4, 2023

বলরাম থেকে রামেন্দ্র নারায়ন

 শ্মশান মন্দির
শ্মশান মন্দির

ভাওয়াল এর শেষ মুসলিম জমিদার দৌলতগাজীর মৃত্যুর পর ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদের নবাব সুজাউদ্দিনের নিকট থেকে গাজীদেরই নায়েব বলরাম রায় ভাওয়াল জমিদারী নিলামে ক্রয় করেন । এই জমিদারী ভাওয়াল রাজ বংশপরম্পরায় কতটুকু প্রভাব ফেলেছিল,কার সময় কি কি ঘটেছিল , তা সংক্ষেপে জেনে নেই ।

বলরাম রায়ঃ ১৭৩৮ এ দৌলতগাজী'র নায়েব বলরাম আরো দুই আমলার সাহায্যে ভাওয়াল জমিদারী নিলামে ক্রয় করেনঃ 


বলরাম রায়  = ৭ 

গাছা র বীরেন্দ্র রায়  = ৭

পলাশোনা র নিশিকান্ত  = ২

১৬ আনা

ভাওয়াল রাজার বংশপঞ্জি
ভাওয়াল রাজার বংশতালিকা

শ্রীকৃষ্ণ রায়ঃ শ্রীকৃষ্ণ পলাশোনা র নিশিকান্ত ঘোস এর কাছ থেকে ২ আনা ক্রয় করে নিজের জমিদারীর ৯ আনায় পরিনত করেন।এসময় তিনি নিজের নামের সাথে মিল রেখে পিড়াবাড়ীএ নাম পরিবর্তন করে জয়দেবপুর রাখেন। আনুমানিক ১৭৫৭ তে তিনি মারা যান। উদয় নারায়ণ+ কীর্তি নারায়নঃ উদয় নারায়ণ+ কীর্তি নারায়ন চাচা ভাতিজা একত্রে জমিদারী চালান। এখানেও অল্প কিছুদিন পর উদয় নারায়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্র রেখে মারা যান। উদয় নারায়ন এর মৃত্যুর  পরের বছর চাচা কীর্তি নারায়নও ৩ ছেলে রেখে মারা যান।কীর্তি নারায়ন এর মৃত্যুর কিছুদিন পর সেই উদয় নারায়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্র রাজ নারায়নও মারা যায়।ফলে কীর্তি নারায়ন এর ৩ পুত্রের মধ্যে ছোট লোক নারায়ন জমিদারী পান ১৭৮৯ তের মধ্যে।


লোক নারায়নঃ বুদ্ধিমান লোক নারায়ন এর স্ত্রীর নাম ছিল  সিদ্ধেশ্বরী। ৭৮ এর মহা দুর্ভিক্ষের সময় উত্তরের কোচবিহার থেকে আসা বেশ কিছু কোচ ও রাজবংশই উপজাতিদের বসবাস করার অনুমতি দেন এবং অনেক অনুর্বর ও জঙ্গল কৃষি কাজের উপযোগী করে তোলেন।  গাছার তৎকালীন জমিদার বংশের জমিদার কালি কিশোর ঋণে জর্জরিত হয়ে সেই ভাওয়ালের ৭ শতাংশ জমিদারী নীল চাষি মিঃওয়াইজ কে বেঁচে দিলে সীমানা নিয়ে সৃষ্ট চরম বিরোধ রানী সিদ্ধেশ্বরী বিচক্ষণতার সাথে মীমাংসা করেন। জমিদারী রক্ষার সাথে সাথে পুত্র গোলক নারায়ন ও পৌত্র কালী নারায়নের জন্য প্রচুর সম্পদ রেখে যান।  ১৮৪৪ এ রানী সিদ্ধেশ্বরী মারা যান। রানী সিদ্ধেশ্বরীর র নামে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী। রাজারবাগ এলাকাটিও রাজা কালী নারায়নের নামে নামকরন হয়।


কালী নারায়নঃ ১৮৫৬ তে গোলক নারায়ন মারা গেলে পুত্র কালী নারায়ন ৪৮ বছর বয়সে জমিদার হন। রাজবাড়ী টি তাঁর আমলেই তৈরি হয়। স্বভাব কবি গোবিন্দদাস ১৮৭৩ এ এই রাজসভায় রাজস্ব কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন।


রাজেন্দ্র নারায়নঃ ১৮৭৭ এ রাজেন্দ্র নারায়ন জমিদারী পান পিতার মৃত্যুর পর। রানী বিলাস মনি তাঁর স্ত্রী। পিতার স্মৃতি স্বরূপ কালীগঞ্জ বাজার(বর্তমান  সদর থানা) আর রাজেন্দ্রপুর বাজার নামটি রাখেন নিজের নামের সাথে মিলিয়ে। রানী বিলাস মনির গর্ভে তিন পুত্র ও দুই কন্যা রেখে ১৯০১ এ তিনি মারা যান।


রামেন্দ্র নারায়নঃ এই সেই ভাওয়াল সন্ন্যাসী রাজা যিনি এই জমিদার বংশের সর্বশেষ রাজা ছিলেন ।

 

শব্দঃ ৩৬৬

তথ্যঃ গ্রন্থ-গাজীপুরের ইতিহাস, নেট

 




Comments


bottom of page