এ নগরের সেরা ধনী রানীর চিড়া
- এডিট ডেস্ক
- Nov 25, 2019
- 2 min read
Updated: Jun 4, 2023
ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় বারের আমন্ত্রনে রাজি হয়েছিলেন সে সময়ের ছোট্ট লোকালয় কালিয়াকৈর এর ধনী রানী, তবে বিনা পয়সায় গয়াকাশি ও বৃন্দাবন যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে এই শর্তে।

যে চিড়ার স্বাদ আর গন্ধ জয় করেছিল ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়ার মন। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বারবাড়ীয়া গ্রামে পাওয়া যায় এই ধনীর চিড়া।
স্বামী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ায় খুব কষ্টে দিন যাচ্ছিল ধনী রানীর । সাহায্যের আশায় একবার বলিয়াদী শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ি গিয়েছিলেন,জমিদার সাহেব সাহায্য স্বরূপ কিছু ধান দিয়েছিলেন। ধনী রানী ঢেঁকিতে

সেই ধান ভেনে তার পর চিড়া কুটে রীতিমত বিস্মিত। এই ধানে এত সুন্দর আর বড় চিড়া হয়, যা খেতেও খুব সুস্বাদু। ধনী রানী সব ধানের চিড়া না কুটে কিছু ধান বীজ বপন করেন এবং প্রতিবেশীদেরও কিছু ধানের বীজ দেন। এইভাবে পুরো বারবাড়ীয়া গ্রামে বিস্তার লাভ করে এই চিড়ার জাত। ধানের নাম নয়াশাল ধান। আর ধনী রানীর নাম অনুসারে এই ধানের চিড়ার নাম হয়ে যায় ‘ধনীর চিড়া'
১৮৮৬ সালে রানী ভিক্টোরিয়ার জন্মদিনে তৎকালীন ঢাকা শহরের গভর্নর উপঢৌকন হিসেবে লন্ডনে কয়েক মণ ধনীর চিড়া পাঠান। যে চিড়া খেয়ে অনুষ্ঠানের সকল অতিথি প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পরবর্তী সময়ে রানী ভিক্টোরিয়া ধনীর চিড়া প্রস্তুতকারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমন্ত্রণ জানালে ধনী রানী ভয়ে যাননি। ভয়ের কারণ হলো ঢাকার মসলিন কাপড় যখন বিখ্যাত হয়েছিল, তখন ইংরেজরা মসলিনের কারিগরদের আঙুল কেটে দিয়েছিল— যাতে তারা আর মসলিন তৈরি করতে না পারে।

পরের বছর ভিক্টোরিয়া দ্বিতীয়বার ধনী রানীকে আমন্ত্রণ জানালে ধনী রানী শর্ত জুড়ে দেন যে, তিনি যাবেন যদি তাঁকে বিনা পয়সায় গয়াকাশি ও বৃন্দাবন যাওয়ার সুযোগ করে দেন। রানী ভিক্টোরিয়া সানন্দে রাজি হলেন এবং ১৮৮৭ সালে ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে গয়াকাশি ও বৃন্দাবনসহ ভারত সফর করেন ধনী রানী।
দুজন লোক ঢেঁকিতে আধাবেলা কাজ করে ১০-১২ কেজি চিড়া কুটতে পারত। বর্তমানে আধুনিক মেশিন আসায় কেউ আর ঢেঁকিতে চিড়া কোটে না। বর্তমানে ধনীর চিড়ার দাম বেড়েছে চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়েনি।
শব্দঃ ২৮৭
তথ্য ও ছবিঃ নেট,উইকিপিডিয়া
Comments